x 
Empty Product

ফলের রাজা আম। আর আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ । আম আসতে না আসতে শুরু হয়েছে কচি আমের বেচা-কেনা। আর এর সাথে সাথে আম আড়ৎদারদের আড়ৎ মেরামতের কাজ তড়িঘড়ি শুরু হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও শিবগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে কচি আমের বেচা-কেনা চলছে।

 বেশ কিছুদিন হতে লক্ষ করা গেছে শিবগঞ্জের বেকিবাগান মোড়, পুখুরিয়া বাজার, কানসাট বাজার, জহরপুর মোড়, খড়কপুর মোড়, ধোবড়া বাজার, মুসলিমপুর বাজার,জেলা শহরের সদরঘাটসহ বিভিন্ন বাজারে ও কয়লাবাড়ী ট্রাক টার্মিনালসহ বেশ কিছু স্থানে এ কলি আম বেচা-কেনা হচ্ছে। এতে করে জেলার গ্রামবাসীরা যেমন এই কচি আম বিক্রয় করে উপকৃত হ্েচছ, তেমনি উপকৃত হচ্ছে আম ক্রেতারা। এ ব্যাপারে একজন আম ক্রেতা রশিদ জানান, আমি গ্রামে গ্রামে সাইকেলে চড়ে আম ক্রয় করি এবং পাইকারদের কাছে বিক্রয় করি। আমি আম মৌসুমে আমের ব্যাবসা করি এবং অন্য সময় কৃষি কাজ করি। গ্রামে ঘুরে বেরিয়ে ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত মণ দরে ক্রয় করা এ কচি আম আমি পাইকারদের কাছে প্রতি মণ ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রয় করি। অন্যদিকে আজাহার, শরিফুল, তারিকুল, সাদিকুলসহ কয়েকজন ক্রেতা একই কথা বলে। এদিকে আম পাইকারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে তাঁরা এ কলি আম নিয়ে ঢাকা,চট্টগ্রাম, সিলেটসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাইরে গিয়ে বিক্রয় করে। এতে তাঁরাও এ কচি আম বিক্রয় করে লাভবান হন। আচারের,তরকারির,বিভিন্ন খাদ্য প্রস্তুত কারখানায় এমনকি কাচাঁ লবন দিয়ে খাবার জন্য এর চাহিদা অনেক। কৃষক ও আম ব্যবসায়ীদের বিশাল উৎসবমূখর দিন এগিয়ে আসছে। তাই জেলার সকল কৃষক ও আম ব্যবসায়ী বিভিন্নভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। যার ফলে আম আড়ৎদাররা তাঁদের আড়ৎ ঘরের কাজ তড়িঘড়ি শেষ করছে।

 তবে এ ব্যবসায় জড়িত জেলার সবাই এই বছরে আমের ভবিষ্যৎ নিযে রাজনৈতিক সহিংসতার কারনে শংকিত।

 

বগুড়ায় সবজি ও কাঁচামালের দাম আরো কিছুটা কমেছে। সবচেয়ে বেশি কমেছে মৌসুমি ফল কাঁচা আমের দাম। বিভিন্ন জাতের আধা পাকা ও কাঁচা আম মাত্র দুই টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ৫০ কেজির একবস্তা আমের দাম একশ টাকা। হঠাৎ ঝড়ে অনেক আম পড়ে যাওয়ায় বগুড়ার আড়তগুলোতে প্রচুর আমের আমদানি হয়েছে। এ কারণে দাম পড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন আমের আড়তদাররা।

 বগুড়ায় হঠাৎ করে লাফিয়ে বেড়েছে আদা, রসুন ও গুঁড়ো দুধের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আদা-রসুনে কেজিতে ২৫ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গুঁড়ো দুধের দাম কেজিতে একশ টাকা বেড়েছে।

 সবজির মধ্যে ঢেঁড়স ও শসার দাম কিছুটা বেড়েছে। শুক্রবার শসা সাত টাকা এবং ঢেঁড়স ছয় টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কমেছে পটোল, করলা আর বেগুনের দাম। গত সপ্তাহের ১৫ টাকা কেজির পটোল আজ ১০ টাকায়, বেগুন ২০ টাকা এবং টমেটো ১৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

 বরবটি ও মিষ্টি কুমড়া কেজিতে পাঁচ টাকা কমে ১০ টাকা, আলু কেজিতে কমেছে তিন টাকা, কাঁচামরিচের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে দশ টাকা কমে আজ ১৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

 স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং বিক্রেতারা জানান, এ সপ্তাহে কোনো হরতাল না থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকারি ক্রেতারা আসতে শুরু করায় কিছু কাঁচামালের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এ কারণেই শসা আর ঢেঁড়সের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে দাম আরো বাড়বে।

 বগুড়া রাজাবাজার ব্যবসায়ী ও কাঁচামাল আড়তদার সমিতির সভাপতি আলহাজ ফজলুর রহমান জানান, রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রচুর পরিমাণে আমের আমদানি হওয়ায় হঠাৎ করে দাম পড়ে গেছে।

 এছাড়া অন্যসব জিনিসের দাম বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আদা ও রসুনের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধাণে এগুলোর দাম কেজিতে ২৫ টাকা বেড়েছে। রসুন কেজিতে ২৫ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের ৬০ টাকার আদা শুক্রবার ৮০ টাকা।
 গুঁড়ো দুধ ও শিশুখাদ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গুঁড়োদুধের দাম কেজিতে বেড়েছে একশ টাকা।

 বিভিন্ন জাতের ডাল ও পেঁয়াজের দামে তেমন কোনো হেরফের হয়নি। সব ধরনের, তেল, চিনি ও মসলার দাম স্থিতিশীল আছে। তবে আটা, ময়দা ও খেসারির ডালের দাম কেজিতে দুই থেকে এক টাকা বেড়েছে।

 শুক্রবার  সকালে বগুড়া শহরের রংপুর রোড কলেজ বাজার, কালিতলাহাট, গোদারপাড়া, মাটিডালি বাজার, নামাজগড়, কলোনি বাজার, খান্দার, সেউজগাড়ি, রাজাবাজারসহ কয়েকটি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে সবজির সরবরাহ বাড়লেও পাইকারি ক্রেতা নেই। স্থানীয় বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়া এবং পাইকারি ক্রেতা না থাকায় সবজির দাম কমেছে ।

 মাছের দাম এ সপ্তাহেও ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। ইলিশের দাম কিছুটা কমেছে। এক হাজার দুইশ টাকা কেজির ইলিশ এখন আটশ টাকা। মাগুর মাছ ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা, রুই ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, কাতলা ৫০০ টাকা চিংড়ি ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা এবং ছোট মাছ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

 সব ধরনের চালের দাম কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা কমেছে। আতপ চাল ৬৫ থেকে ৭৮ টাকা এবং সাধারণ চাল সর্বোচ্চ ৪০ থেকে সর্বনিম্ন ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।